একটি ব্যতিক্রমী পোস্ট...
Bengali Indrajal Comics (https://indrajalbengali.blogspot.com)
THE RETURN OF INDRAJAL COMICS!!! (https://walkerindrajal.blogspot.com)
Bangla Comics er Addaghar (https://vintagebengalicomics.blogspot.com)
গল্পঘর (Story Room) [https://galpoghar.blogspot.com]
“আমি কেন ব্লগিং করি”— বা বিশেষ করে বললে কমিক্সের ব্লগই কেন? এক বিশেষ বন্ধুর অনুরোধে আজ এই পোস্টটা লিখতে
বসলাম, অনেকটা ডায়েরি লেখার
মতো আজকে এই পোস্টটা লেখার ইচ্ছে আছে, আর
যেহেতু ডায়েরিতে কোনও কিছু এড়িয়ে যেতে নেই, তাই
যতটা পারব স্বচ্ছ ভাবে লেখার চেষ্টা করব। একটু অতীতে ফিরে যাই, আজ থেকে বছর দশ-নয় আগে ইন্টারনেট ও কম্পিউটার
নামক দু’টি বস্তুর ‘স্বাধীন’ সান্নিধ্যে এসে আমার সামনে এক অবাক পৃথিবীর
দরজা খুলে গিয়েছিল যেন...! তারপর নানারকম কৌতূহলের সাথে অন্তর্জাল দুনিয়ায় এটা-ওটা-সেটা
খুঁজতে-খুঁজতে একদিন খোঁজ পাই ডিজিটাল সংস্করণের কিছু বইয়ের। “যদি এ-ই পাওয়া যায়, তাহলে আরেকটু দেখি তো!”— এই ভেবে পছন্দের তালিকায় সবথেকে উপরে থাকা ‘কমিক্স বস্তুটির’ খোঁজ করতে থাকি, তাতে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইটের খোঁজ পাই। এরপরে
কৌতূহলের আরও একধাপ পেরিয়ে খোঁজ করতে থাকি বাংলা কমিক্সের, এবারও হতাশ হই না। বেশ কিছু বাংলা কমিক্সের
ভাণ্ডারের ঝাঁপি আমার সামনে খুলে যায়— এর
মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
The Lost WORLD (https://dara-indrajal.blogspot.com)
Bengali Indrajal Comics (https://indrajalbengali.blogspot.com)
Bengali Comics and Books (http://www.bengalicomics.com/p/home.html)
Bengali Indrajal Comics ForEver (https://indraindrajal.blogspot.com)
এছাড়াও
আরও বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট রয়েছে, তবে সেগুলো ‘পুরোপুরি’ কমিক্সের
ওয়েবসাইট নয়। এই ওয়েবসাইটগুলির অ্যাডমিনদের কারও-কারও সাথে আমার ব্যক্তিগত পরিসরে
পরিচিতি আছে, তবে সেটা খুবই যৎসামান্য। এছাড়াও আরও কয়েকটি
বাংলা কমিক্সের ব্লগ রয়েছে যেগুলির কথা উল্লেখ না করলে খুবই অন্যায় হয়ে যাবে—
Comicওনুবাদ 2.0 (https://comiconubad2.blogspot.com)
THE RETURN OF INDRAJAL COMICS!!! (https://walkerindrajal.blogspot.com)
Bangla Comics er Addaghar (https://vintagebengalicomics.blogspot.com)
গল্পঘর (Story Room) [https://galpoghar.blogspot.com]
এই ব্লগগুলোর সম্বন্ধে যা-ই বলব সেটাই কম বলা হয়ে যাবে। এবার চোখের সামনে এতগুলো কমিক্স জগতের
দরজা খুলে যাওয়াতে আমারও মনে এরকম কিছু করার ইচ্ছে জাগে (প্রসঙ্গক্রমে জানিয়ে রাখি, আমার আজকের ব্লগ করার উৎসাহ, সাহস, অনুপ্রেরণা সবকিছুই আমি পেয়েছি মূলত তিনজনের
কাজ দেখে— এক, Bengali Comics and Books-এর Amit Ghosh, দুই, Bengali PDF Comics-এর Debdatta Pati—এঁদের দু’জনের
সাথে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় নেই, অনেক খোঁজ করেও এঁদের সাথে
কোনও রকম ভাবে যোগাযোগ করতে পারিনি, এবং তিন, Bengali
Indrajal Comics ForEver-এর গুরুদেব ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দা’),
সেটা আজ থেকে বছর সাত-ছয়েক আগেকার কথা, তা সেই
ইচ্ছে পূরণ করতে করতে কেটে গেল আরও বেশ ক’বছর, তারপর গতবছরের সেপ্টেম্বর মাসে আমার সে-ইচ্ছে পূরণ করতে পারলাম
(সেপ্টেম্বর মাসে ব্লগ শুরু করার আরেকটি কারণ হল, ও-মাসের
মাস দুয়েক আগের থেকে—তার জের অবশ্য এখনও চলছে—আমার ব্যক্তিগত জীবনে এমন একটি ব্যাপার ঘটে যার জন্য আমার কিছু একটা
অবলম্বনের প্রয়োজন ছিল— কমিক্স, এই
ব্লগ ও বিশেষ করে আপনাদের উৎসাহ ও ভালবাসা সেই অবলম্বনের অভাব পূরণ করেছে, এটা একেবারে আমার মনের কথা!)। এবার প্রশ্ন হল একটা ইচ্ছে পূরণ করতে এতটা
সময় কেটে গেল কেন? প্রথমেই বলব দ্বিধার কথা, কমিক্স নিয়ে ব্লগ বানাব, তা-ও আবার বাংলা কমিক্স
(ও-জিনিস তো ছোটরা পড়ে!)! দ্বিতীয়ত, সময়— কতটা সময় দিতে পারব এর পেছনে? শুরু তো সবাই করতে
পারে, সেটা চালিয়ে নিয়ে যেতে পারে ক’জন?
বা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার উৎসাহ দেন ক’জন?
ঠিক এই জায়গাতেই এসে প্রথমে আমি সিদ্ধান্ত নিই ব্লগে এমন কিছু একটার
সংযোজন করব যাতে এটা মনে না হয় যে যেটা আমি করছি সেটা সম্পূর্ণ “ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো”, ঠিক এ-কারণেই ব্লগে
অ্যাড (লাইভ অ্যাড ও শর্ট লিঙ্ক অ্যাড) যোগ করা হয় (যে-কারণে চাইলেও এই ব্লগটিকে
অবাণিজ্যিক বলে উল্লেখ করতে পারি না), তবে যাঁরা অ্যাডের
সম্পর্কে কিছুটা খোঁজখবর রাখেন, তাঁরা হয়তো জানবেন যে এসব
অ্যাডের থেকে কীরকম ‘রিটার্ন’ পাওয়া
যায়! ভাববেন না যেন আবার কোনও অজুহাত দিচ্ছি, প্রসঙ্গক্রমে
জানিয়ে রাখি ব্লগ থেকে বেশ কিছু দিন হল সমস্ত শর্ট লিঙ্ক অ্যাড তুলে দেওয়া হয়েছে
(তবে লাইভ অ্যাডটি রয়েছে, ওটি পোস্টের বাইরের জিনিস, চাইলে অনায়াসে অগ্রাহ্য করে এড়িয়ে যাওয়া যায়। আসলে ডাউনলোড লিঙ্কে ক্লিক
করলে মূল কন্টেন্ট না খুলে একটা অন্য পেজ খুলে যাওয়ার ব্যাপারটা একজন পাঠক/দর্শক
হিসেবে আমাকে অনেকদিন ধরেই কাঁটার খোঁচা দেওয়ার মতো অস্বস্তি জুগিয়ে যাচ্ছিল,
তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া।)।
এবার
আমার একটা বদভ্যাসের কথা বলি, আমি একটা বিশেষ দলে পড়ি— এতদিন ধরে এতগুলো ওয়েবসাইট ‘ফলো’ করা বলুন, কিংবা চুপিচুপি
মেইন কন্টেন্ট (মানে, মূল ডাউনলোড ফাইল— তা সে পিডিএফ/সিবিআর যা-ই হোক না কেন!) ডাউনলোড করা যা-ই বলুন না কেন,
এই ব্লগগুলোতে পৃথিবীর সেরা গোয়েন্দা নিয়োগ করেও আমার করা একটা
কমেন্ট খুঁজে পাবেন না! এখন নিজে একজন ‘নবিশ ব্লগার’ হয়ে বুঝতে পারি, ওসব অ্যাড-ফ্যাড/ডাউনলোড-ফাউনলোড
কিস্যু নয়, ব্লগের আসল প্রাণশক্তি হল ব্লগে পাঠক/দর্শকদের
একটি মূল্যবান কমেন্ট (তা সে যতই ছোট বা বড় হোক না কেন!), যেটা
একজন ব্লগারকে আমার আগে বলা সেই ‘উৎসাহ’ কথাটির যোগান দেয়। আমি নিজেই যেখানে এতদিন ধরে এসব ব্লগারদের ‘নিঃস্বার্থ অবদান’-গুলোকে চুপিচুপি ‘স্বার্থপর’-এর মতো চোখ-কান-নাক বুজে শুধুই ‘ডাউনলোডিয়ে’ গেছি, সেখানে আমি
আমার নিজের ব্লগে কমেন্টের আশা করিই-বা কী করে...!!!
যাকগে, একটা কমিক্সের ব্লগে শুধুমাত্র কতগুলো অভিযোগ-অনুযোগ, ব্যক্তিগত ভাল লাগা-মন্দ লাগা, নিজস্ব অভিজ্ঞতা-মতামতের কথা শুধু লিখেই গেলে চলবে না বুঝে আজ এই এত বৃত্তান্ত লেখার পরে একটা কমিক্স দিতে চলেছি, যেটাকেও একটা ব্যতিক্রমী কমিক্স বলা চলে। আসলে এই বিষয়ের উপর বাংলায় কমিক্স কোনও দিন হবে বা আদৌ হবে কিনা সে-বিষয়ে সন্দেহ আছে! কমিক্সটিতে সংলাপ ও ওনোম্যাটোপিয়াগুলো নিয়ে একটু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছে। সাহস করে যদি পড়তে পারেন, আর আপনাদের ভাল লাগা-মন্দ লাগা জানাতে পারেন, তাহলে খুব ভাল লাগবে! সাহস করে বললাম এই কারণে, এই কমিক্সটি কঠোর ভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য; শুধুমাত্র সম্পূর্ণ নগ্নতাই যে রয়েছে তাই নয়, প্রচণ্ড মাত্রায় হিংস্রতা রয়েছে, এবং সংলাপে এমন কিছু কথা আছে যেগুলো আমরা সচারচর সবার সামনে ব্যবহার করি না। কমিক্সটি আগস্ট ১৯৮৪’র ‘এপিক ইলাস্ট্রেটেড (Epic Illustrated)’-এর ২৫ নং. সংখ্যা থেকে নেওয়া হয়েছে, মূল কমিক্সটির নাম ‘The Potty’s Over’— বাংলায় কী নাম দেওয়া হয়েছে সেটা কমিক্সটা পড়েই জানুন না হয়! কমিক্সটির মূল কাহিনি, ছবি ও রঙ সবকিছুই করেছেন বার্নি রাইটসন (Bernie Wrightson)। প্রসঙ্গক্রমে জানিয়ে রাখি এপিকের এই সংখ্যাটিতে এই কমিক্সটি ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি কমিক্স ছিল (থাকবে নাই-বা কেন? একটা এগারো পাতার কমিক্স দিয়ে তো আর একটা ম্যাগাজিন সম্পূর্ণ হয় না!), কিন্তু বার্নি রাইটসনের এই কাজটার কাছে সেগুলো কিছুই নয়, কমিক্সটিতে ওঁর আঁকা থেকে শুরু করে সবকিছু এতটাই ভাল লেগে যায় যে সাহস করে একটা অ্যাডাল্ট কমিক্সে (এটি কিন্তু পর্নো কমিক্স নয়) হাত দিয়েই ফেলি। আরেকটা কথা, যেহেতু সম্পূর্ণ এপিক কমিক্সটির রূপান্তর করিনি এবং এর বিষয়বস্তুর জন্য এটার কোনও ফুল কভার ব্লগে দেওয়াও যাবে না, তাই ছোট করে একটা হাফ কভার দেওয়া হল... এবার আপনাদের প্রতিক্রিয়াই সবকিছুর উত্তর দেবে। এবং এই কমিক্সটি উৎসর্গ করলাম তাঁদের উদ্দেশ্যে যাঁরা মনে করেন কমিক্স শুধুমাত্র বাচ্চাদের-ছোটদের পড়ার জিনিস!!! আজ ‘এখানেই’ শেষ করলাম তাহলে, ভাল থাকবেন, পাশে থাকবেন!
এখান থেকে সংগ্রহ করুন (সিবিআর ফর্ম্যাট)
এখান থেকে সংগ্রহ করুন (পিডিএফ ফর্ম্যাট)
সেইইইইইইইইই তো।
ReplyDeleteজিও বস।
ফাটিয়ে দিয়েছ।
অনেক ধন্যবাদ, ভাই! সঙ্গত কারণেই এ-পোস্টে কেউ কোনও মন্তব্য করবে আশা করিনি, তুমিই আমার প্রথম সেই ভুলটা ভাঙালে! খুব ভাল লাগল, এভাবেই পাশে থেকো, ভাই!:)
Deleteআশা করি আরো অনেক কমিকস পাবো।
ReplyDeleteঅবশ্যই পাবেন, তবে এ-ব্লগে প্রকাশিত আগের কমিক্সগুলো না পড়া থাকলে আপনার কাছে ওগুলো পড়ে ফেলার অনুরোধ রইল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, এভাবেই আমাদের পাশে থাকুন!
DeleteBoss, once more.
ReplyDeleteMany many thanks, be with us!
Delete@dk: onubad to valoi hoyeche.. tobe setar chaiteo boro kotha tumi banglay ae dhoroner comics translate kore darun sahosikotar porichay dile. onyo keu hoyto eriyei jeto. comics maanei je bacchader ta noy, seta tomar ae comics e hare-hare ter pawa geche!
ReplyDeletetobe golpo bolar dhoron ta onektai "tales from the crypt" ba "vault of horror" er moton. erokom golpo majhe modhye valoi lage.
হ্যাঁ, ঠিকই বলেছ, গল্প বলার ধরনটা অনেকটাই "টেলস ফ্রম দ্য ক্রিপ্ট" ও "ভল্ট অফ হরর"-এর মতো, তবে সেটা এ-কমিক্স বা এ-ম্যাগাজিনের ধরনও হতে পারে, মানে ওরা ব্যাপারটার প্যারোডি করেছে হয়তো, গোটা কমিক্সটা জুড়েই তো প্যারোডির ছাপ রয়েছে। আমি বরাবরই কমিক্স শুধুমাত্র "বাচ্চাদের জিনিস" কথাটার বিরোধী, এমনকী এ-কথাটা অনেক কমিক্স-প্রেমী বা কমিক্সের সাথে যুক্ত লোকেদের মুখেও শুনে থাকি— "বাচ্চাদের কমিক্স উপহার দিন", "আরও বেশি বেশি করে বাচ্চাদের কমিক্স পড়ান বা পড়তে উৎসাহিত করুন", কাউকে এ-কথাগুলো বড়দের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে দেখি না! তাই এই ছোট্ট পদক্ষেপটা নেওয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র। তবে স্রোতের উল্টোমুখে চললে বরাবরই ভেসে যেতে হয়, যেখানে বিশেষ করে বিষয়টা কমিক্স, তাও আবার বাংলা কমিক্স, তাও আবার অ্যাডাল্ট কমিক্স, সেখানে একটু চিন্তার বিষয় আছে বৈকি!
Deleteসাহস করে নামিয়ে পড়ে ফেললাম। মন্দ লাগেনি। হ্যারিকে টুকরো টুকরো করে কাটতে দেখে গা গুলিয়ে উঠেছে। আর লাস্টের অংশটা আরও ভয়াবহ! কমিক্স যে শুধু বাচ্চা-খোকাদের জন্য নয়, সেটা একেবারে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন। ধন্যবাদ জানবেন।
ReplyDeleteসাহস করার জন্য ধন্যবাদ! তবে তুমি তোমার কমেন্টে বেশ খানিকটা ‘স্পয়লার’ দিয়ে দিয়েছ, অবশ্য তাতে সাসপেন্সটা আরও বেড়েছে। এমন অনেক ধরনের কাজ আছে যেগুলোর সাহায্যে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া যায় যে কমিক্স শুধুমাত্র বাচ্চাদের জিনিস নয়— এই আবহমান ‘গোঁড়ামিটা’ খুব ভাঙতে ইচ্ছে করে, তবে আবার ভয় হয় নিজেই না ভেঙে যাই! পাশে থাকার জন্য আরও একবার ধন্যবাদ!
Deleteদারুন লাগলো।অন্য রকমের হরর কাহিনি।আর অনুবাদ দারুন।শব্দ চয়ন গুলো বেশ যথোপযুক্ত হয়েছে।
ReplyDeleteঅনেক অনেক ধন্যবাদ, @PaarthoAranyadeb! এই আয়োজনে পাশে থাকার জন্য বেশ খানিকটা বল-ভরসা পেলাম বলা চলে (হা-হা-হা, মজাচ্ছলে বললাম কিন্তু)!
Deleteঅভিন্দন..দাদা...!!!
ReplyDeleteআরও ভালো কিছুর অপেক্ষায়...!!!
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পাশে থাকার জন্য! আরও ভাল কিছুর করার চেষ্টা অবিরত করে চলেছি!
DeleteThanxs a lot dada.
ReplyDelete@Abhishek Bardhan, you're most welcome, be with us, and thanks a lot for your 'courage'...!!!:)
DeleteOs3r bro...
ReplyDeleteTHNX...!!!
Delete