কমিক্‌স সম্ভার — তিয়ুদাদ ~ ওয়াচমেন ~ ফ্যান্টম ~ টিনটিন ~ কুইক ও ফ্লাপকে ~ পেপি ~ ব্যাটম্যান ~ সুপারম্যান ~ হাল্ক ~ জেমস বন্ড ~ ডেথ নোট ~ মিলো মানারা ~ দ্য মমি ~ দ্য থিং ~ ব্লেয়ার উইচ ~ আগাথা ক্রিস্টি ~ এডগার অ্যালান পো

Friday, March 29, 2019

Lee Falk's Phantom - Pandora's Box

ফ্যান্টম — মায়াবী মুখোশ (সম্পূর্ণ কমিক্‌স)

কমিক্‌স নিয়ে কিছু (যেহেতু খুবই ভাললাগার একটা জিনিস) করার ইচ্ছে (ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের দিকেই সেই ঝোঁকটা বেশি, যদিও ম্যানুয়ালি কিছু করার স্বপ্ন দেখি রোজ— স্বপ্ন দেখতে আর বাঁধা দিচ্ছে কে?!) বেশ অনেক বছরেরই, নানারকম টালবাহানায় সে-ইচ্ছে পূরণ করতে এতটা সময় লেগে গেল (সে-জন্য দায়ী সম্পূর্ণ আমি নিজে), যাকগে, সেটা পূরণ তো করে ফেলেছি, কিন্তু সেটাকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়াটাই বড় কথা। এখানে প্রসঙ্গক্রমে ক’টা কথা বলে নিই, আগেও বেশ ক’বার এই কথাটা বলেছি— কমিক্‌স হচ্ছে সামাজিক ভাবে একটি বাচ্চাদের জিনিস যেটা নিয়ে আমাদের মতো ধেড়ে খোকাদের মাতামাতি করাটা মানায় না! আর যেহেতু অনুবাদ করি সেহেতু অনেক রকমের সমস্যার মধ্যে আমাকে পড়তে হয় বা হয়েছে। যাকগে, অনেকক্ষণ ধরেই শুধু ‘আমি-আমি’ করে যাচ্ছি, আসল কথায় আসি— কমিক্‌স ব্লগ শুরু করার সময় থেকেই সচেতন ভাবেই ঠিক করে নিয়েছিলাম ইন্দ্রজাল, ডায়মন্ড, কমিক ওয়ার্ল্ডের চরিত্রগুলোতে (বিশেষ করে ফ্যান্টম, ম্যানড্রেক, রিপ কার্বি, ফ্ল্যাশ গর্ডন ইত্যাদি, ইত্যাদি...) হাত দেব না (আরও একটা ব্যাপার, আমার লক্ষ্য ছিল যেগুলো নিয়ে আগে বাংলায় কাজ হয়ে গেছে সেগুলোকে এড়ানো, যেগুলো নিয়ে বাংলায় একেবারেই কাজ হয়নি বা হওয়ার সম্ভাবনা নেই সেগুলোতে হাত দেওয়া), কেননা এ-ক্ষেত্রে অনেক রথী-মহারথীরা আছেন, আমি হাত দিলে শুধু ‘ঘেঁটে ঘ’ করা বা কাঁচা বাংলায় বললে ‘ছড়ানো’ ছাড়া আর কোনও অবদানই রাখতে পারব না, কেননা আমার প্রত্যেক ভাললাগার জিনিসগুলোর প্রতিই ‘অন্ধপ্রেম’ আছে কিন্তু ‘চোখখোলা জ্ঞান’টা নেই, আজও যে কমিক্‌সটি আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছি সেটার সম্বন্ধেও খুব বেশি কিছু তথ্য দিতে পারব না (আর আমি নিজে না জেনে অন্যকে সেই জ্ঞান দেওয়ার পক্ষপাতী নই!), গল্পের ব্যাপারে বিশদ কিছু বলবও না এখানে, সেটা কমিক্‌সটা পড়েই জানুন না হয়। ব্লগের সাম্প্রতিকতম পোস্টে আমি মিলো মানারার ‘প্যান্ডোরা’স আইজ’-এর অনুবাদটা দিয়েছিলাম, সেটা দেখেই আমার ‘কমিক্‌স-বন্ধু’ (বা কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমার দ্বিতীয় কমিক্‌স-গুরু; প্রথম ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়) স্বাগত দত্ত বর্মণ (অন্তর্জাল দুনিয়ায় মিঃ ওয়াকার বলে পরিচিত; আপনাদের কাছে অনুরোধ করব এখান থেকে ওর ব্লগটাও ঘুরে আসতে, কমিক্‌সটার সম্বন্ধে কিছু তথ্য পাবেন) আমাকে এই কমিক্‌সটি অনুবাদ করার প্রস্তাব দেয়, আমি তো এক পায়ে রাজি! আসলে, আঁকা ও গল্প ভাল লাগলে আমি আর কোনও বাছবিচার করি না, আর ফ্যান্টমের মায়াজাল এড়ানো কি অতটাই সোজা?! প্রথমে একটু দ্বিধা করি, কেননা ফ্যান্টম ও ইন্দ্রজাল ইত্যাদি, ইত্যাদি...-র চরিত্রগুলোর থেকে অনেক দিনই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে আছি, তখন স্বাগতই আমাকে সাহস দেয়, সাধারণত এই কমিক্‌সটির অনুবাদ ও ‘সাজসজ্জা’ করতে যতদিন সময় লেগেছে এতটা সময় এর আগে অন্যগুলোতে কখনওই লাগেনি (কারণ সহজেই বোধগম্য!), এখানে আরেকজনের কথা না বললে অন্যায় হয়ে যাবে— পার্থ অরণ্যদেব মুখোপাধ্যায়; প্রচণ্ড ভাবে সহায়তা করেছে, দিনের পর দিন ওকে জ্বালিয়ে মেরেছি, ঘ্যানঘ্যান করেছি। অনেক পরীক্ষানিরীক্ষা, আলোচনার (সে-আলোচনা যে শুনবে নির্ঘাত তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে; এই ভেবে যে কেউ এতটাও ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতে পারে?!) শেষে গিয়ে কমিক্‌সটা সম্পন্ন হয়, বাদবাকিটা এবার আপনাদের হাতে— ভাল লাগল না খারাপ লাগল সেটা আপনারই বলবেন। ভাল থাকবেন, পাশে থাকবেন!

এখান থেকে সংগ্রহ করুন (সিবিআর ফর্ম্যাট)

এখান থেকে সংগ্রহ করুন (পিডিএফ ফর্ম্যাট)