কমিক্‌স সম্ভার — তিয়ুদাদ ~ ওয়াচমেন ~ ফ্যান্টম ~ টিনটিন ~ কুইক ও ফ্লাপকে ~ পেপি ~ ব্যাটম্যান ~ সুপারম্যান ~ হাল্ক ~ জেমস বন্ড ~ ডেথ নোট ~ মিলো মানারা ~ দ্য মমি ~ দ্য থিং ~ ব্লেয়ার উইচ ~ আগাথা ক্রিস্টি ~ এডগার অ্যালান পো

Monday, July 22, 2019

Death Note: Volume 1, Chapter 2 — L (Translated in Bengali)

ডেথ নোট: ১ম খণ্ড, ২য় পর্ব — এল্‌


মাঙ্গা কী সেটা মাঙ্গা-প্রেমী, অ্যানিমি-প্রেমী ও কমিক্‌স-প্রেমীরা কমবেশি সকলেই জানেন; সোজা কথায় মাঙ্গা জাপানের কমিক্‌স। মাঙ্গা নিয়ে পছন্দ-অপছন্দের ঘ্যানঘ্যানানি না শুরু করে আজ মাঙ্গার একটা ‘বিশেষ অসুবিধে’র (কয়েক জনের মতে) কথা বলি। সোজা ভাষায় বললে ‘টেকনিক্যাল’ অসুবিধে; কেননা মাঙ্গা পড়তে হয় ডানদিক থেকে বাঁদিকে (এই মাঙ্গাটির ১ম পর্বে মাঙ্গা কীভাবে পড়তে হয় সেটা একটা ছবির সাহায্যে বোঝানো ছিল)— যেটা আমাদের কাছে প্রথম-প্রথম একটু খটোমটো লাগে বৈকি, যেহেতু আমরা বাঁদিক থেকে ডানদিকে লেখা পড়ে অভ্যস্ত। তো এই চিন্তাভাবনা থেকেই একটা পরীক্ষা করার চিন্তাভাবনা করলাম (খেয়েদেয়ে কাজ না থাকলে যা হয় আরকি!), ব্যাপারটা হয়তো আগেও অনেকেই বা কেউ করেছেন, তাই আমিই এই পরীক্ষা নতুন করেছি বলে বুক বাজাব না! কী পরীক্ষা সেটা আপনারা না হয় মাঙ্গাটা পড়েই আমাকে জানান।
আজ থাকছে আপনাদের জন্য ‘ডেথ নোট’-এর ১ম খণ্ডের ২য় পর্ব— ‘এল্‌’। কাহিনি — সুগুমি ওহোবা, ছবি — তাকেশি ওবাতা। অনুবাদ ও সম্পাদনা — দেবাশীষ কর্মকার।
বিশেষ পরীক্ষাটা কেমন লাগল, বা অনুবাদ কেমন লাগল, বা আরও ভালমন্দ কিছু বলার থাকলে সেটা জানাতে ভুলবেন না যেন। আজ এখানেই শেষ করছি তাহলে, ভাল থাকবেন, পাশে থাকবেন!




Friday, July 5, 2019

Blogging, Comics & blah, blah, blah...

একটি ব্যতিক্রমী পোস্ট...


“আমি কেন ব্লগিং করি”— বা বিশেষ করে বললে কমিক্‌সের ব্লগই কেনএক বিশেষ বন্ধুর অনুরোধে আজ এই পোস্টটা লিখতে বসলামঅনেকটা ডায়েরি লেখার মতো আজকে এই পোস্টটা লেখার ইচ্ছে আছেআর যেহেতু ডায়েরিতে কোনও কিছু এড়িয়ে যেতে নেইতাই যতটা পারব স্বচ্ছ ভাবে লেখার চেষ্টা করব। একটু অতীতে ফিরে যাইআজ থেকে বছর দশ-নয় আগে ইন্টারনেট ও কম্পিউটার নামক দু’টি বস্তুর ‘স্বাধীন’ সান্নিধ্যে এসে আমার সামনে এক অবাক পৃথিবীর দরজা খুলে গিয়েছিল যেন...! তারপর নানারকম কৌতূহলের সাথে অন্তর্জাল দুনিয়ায় এটা-ওটা-সেটা খুঁজতে-খুঁজতে একদিন খোঁজ পাই ডিজিটাল সংস্করণের কিছু বইয়ের। “যদি এ-ই পাওয়া যায়তাহলে আরেকটু দেখি তো!”— এই ভেবে পছন্দের তালিকায় সবথেকে উপরে থাকা ‘কমিক্‌স বস্তুটির’ খোঁজ করতে থাকিতাতে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইটের খোঁজ পাই। এরপরে কৌতূহলের আরও একধাপ পেরিয়ে খোঁজ করতে থাকি বাংলা কমিক্‌সেরএবারও হতাশ হই না। বেশ কিছু বাংলা কমিক্‌সের ভাণ্ডারের ঝাঁপি আমার সামনে খুলে যায়— এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

BENGALI TreAsurE-TrovE (https://bengalitreasuretrove.blogspot.com)

The Lost WORLD (https://dara-indrajal.blogspot.com)

Bengali Indrajal Comics (https://indrajalbengali.blogspot.com)


BENGALI PDF COMICS (https://bengalipdfcomics.blogspot.com)


Bengali Comics and Books (http://www.bengalicomics.com/p/home.html)


Bengali Indrajal Comics ForEver (https://indraindrajal.blogspot.com)


এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট রয়েছে, তবে সেগুলো পুরোপুরিকমিক্‌সের ওয়েবসাইট নয়। এই ওয়েবসাইটগুলির অ্যাডমিনদের কারও-কারও সাথে আমার ব্যক্তিগত পরিসরে পরিচিতি আছে, তবে সেটা খুবই যৎসামান্য। এছাড়াও আরও কয়েকটি বাংলা কমিক্‌সের ব্লগ রয়েছে যেগুলির কথা উল্লেখ না করলে খুবই অন্যায় হয়ে যাবে

চিত্রচোর (https://chitrochor.blogspot.com)

Comicওনুবাদ 2.0 (https://comiconubad2.blogspot.com)

THE RETURN OF INDRAJAL COMICS!!! (https://walkerindrajal.blogspot.com)

Bangla Comics er Addaghar (https://vintagebengalicomics.blogspot.com)

গল্পঘর (Story Room) [https://galpoghar.blogspot.com]

এই ব্লগগুলোর সম্বন্ধে যা-ই বলব সেটাই কম বলা হয়ে যাবে। এবার চোখের সামনে এতগুলো কমিক্‌স জগতের দরজা খুলে যাওয়াতে আমারও মনে এরকম কিছু করার ইচ্ছে জাগে (প্রসঙ্গক্রমে জানিয়ে রাখি, আমার আজকের ব্লগ করার উৎসাহ, সাহস, অনুপ্রেরণা সবকিছুই আমি পেয়েছি মূলত তিনজনের কাজ দেখেএক, Bengali Comics and Books-এর Amit Ghosh, দুই, Bengali PDF Comics-এর Debdatta Pati—এঁদের দুজনের সাথে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় নেই, অনেক খোঁজ করেও এঁদের সাথে কোনও রকম ভাবে যোগাযোগ করতে পারিনি, এবং তিন, Bengali Indrajal Comics ForEver-এর গুরুদেব ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দা’), সেটা আজ থেকে বছর সাত-ছয়েক আগেকার কথা, তা সেই ইচ্ছে পূরণ করতে করতে কেটে গেল আরও বেশ কবছর, তারপর গতবছরের সেপ্টেম্বর মাসে আমার সে-ইচ্ছে পূরণ করতে পারলাম (সেপ্টেম্বর মাসে ব্লগ শুরু করার আরেকটি কারণ হল, ও-মাসের মাস দুয়েক আগের থেকেতার জের অবশ্য এখনও চলছেআমার ব্যক্তিগত জীবনে এমন একটি ব্যাপার ঘটে যার জন্য আমার কিছু একটা অবলম্বনের প্রয়োজন ছিলকমিক্‌স, এই ব্লগ ও বিশেষ করে আপনাদের উৎসাহ ও ভালবাসা সেই অবলম্বনের অভাব পূরণ করেছে, এটা একেবারে আমার মনের কথা!)। এবার প্রশ্ন হল একটা ইচ্ছে পূরণ করতে এতটা সময় কেটে গেল কেন? প্রথমেই বলব দ্বিধার কথা, কমিক্‌স নিয়ে ব্লগ বানাব, তা-ও আবার বাংলা কমিক্‌স (ও-জিনিস তো ছোটরা পড়ে!)! দ্বিতীয়ত, সময়কতটা সময় দিতে পারব এর পেছনে? শুরু তো সবাই করতে পারে, সেটা চালিয়ে নিয়ে যেতে পারে কজন? বা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার উৎসাহ দেন কজন? ঠিক এই জায়গাতেই এসে প্রথমে আমি সিদ্ধান্ত নিই ব্লগে এমন কিছু একটার সংযোজন করব যাতে এটা মনে না হয় যে যেটা আমি করছি সেটা সম্পূর্ণ ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো”, ঠিক এ-কারণেই ব্লগে অ্যাড (লাইভ অ্যাড ও শর্ট লিঙ্ক অ্যাড) যোগ করা হয় (যে-কারণে চাইলেও এই ব্লগটিকে অবাণিজ্যিক বলে উল্লেখ করতে পারি না), তবে যাঁরা অ্যাডের সম্পর্কে কিছুটা খোঁজখবর রাখেন, তাঁরা হয়তো জানবেন যে এসব অ্যাডের থেকে কীরকম রিটার্নপাওয়া যায়! ভাববেন না যেন আবার কোনও অজুহাত দিচ্ছি, প্রসঙ্গক্রমে জানিয়ে রাখি ব্লগ থেকে বেশ কিছু দিন হল সমস্ত শর্ট লিঙ্ক অ্যাড তুলে দেওয়া হয়েছে (তবে লাইভ অ্যাডটি রয়েছে, ওটি পোস্টের বাইরের জিনিস, চাইলে অনায়াসে অগ্রাহ্য করে এড়িয়ে যাওয়া যায়। আসলে ডাউনলোড লিঙ্কে ক্লিক করলে মূল কন্টেন্ট না খুলে একটা অন্য পেজ খুলে যাওয়ার ব্যাপারটা একজন পাঠক/দর্শক হিসেবে আমাকে অনেকদিন ধরেই কাঁটার খোঁচা দেওয়ার মতো অস্বস্তি জুগিয়ে যাচ্ছিল, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া।)।

এবার আমার একটা বদভ্যাসের কথা বলি, আমি একটা বিশেষ দলে পড়িএতদিন ধরে এতগুলো ওয়েবসাইট ফলোকরা বলুন, কিংবা চুপিচুপি মেইন কন্টেন্ট (মানে, মূল ডাউনলোড ফাইলতা সে পিডিএফ/সিবিআর যা-ই হোক না কেন!) ডাউনলোড করা যা-ই বলুন না কেন, এই ব্লগগুলোতে পৃথিবীর সেরা গোয়েন্দা নিয়োগ করেও আমার করা একটা কমেন্ট খুঁজে পাবেন না! এখন নিজে একজন নবিশ ব্লগারহয়ে বুঝতে পারি, ওসব অ্যাড-ফ্যাড/ডাউনলোড-ফাউনলোড কিস্যু নয়, ব্লগের আসল প্রাণশক্তি হল ব্লগে পাঠক/দর্শকদের একটি মূল্যবান কমেন্ট (তা সে যতই ছোট বা বড় হোক না কেন!), যেটা একজন ব্লগারকে আমার আগে বলা সেই উৎসাহকথাটির যোগান দেয়। আমি নিজেই যেখানে এতদিন ধরে এসব ব্লগারদের নিঃস্বার্থ অবদান’-গুলোকে চুপিচুপি স্বার্থপর’-এর মতো চোখ-কান-নাক বুজে শুধুই ডাউনলোডিয়েগেছি, সেখানে আমি আমার নিজের ব্লগে কমেন্টের আশা করিই-বা কী করে...!!!

যাকগে, একটা কমিক্‌সের ব্লগে শুধুমাত্র কতগুলো অভিযোগ-অনুযোগ, ব্যক্তিগত ভাল লাগা-মন্দ লাগা, নিজস্ব অভিজ্ঞতা-মতামতের কথা শুধু লিখেই গেলে চলবে না বুঝে আজ এই এত বৃত্তান্ত লেখার পরে একটা কমিক্‌স দিতে চলেছি, যেটাকেও একটা ব্যতিক্রমী কমিক্‌স বলা চলে। আসলে এই বিষয়ের উপর বাংলায় কমিক্‌স কোনও দিন হবে বা আদৌ হবে কিনা সে-বিষয়ে সন্দেহ আছে! কমিক্‌সটিতে সংলাপ ও ওনোম্যাটোপিয়াগুলো নিয়ে একটু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছে। সাহস করে যদি পড়তে পারেন, আর আপনাদের ভাল লাগা-মন্দ লাগা জানাতে পারেন, তাহলে খুব ভাল লাগবে! সাহস করে বললাম এই কারণে, এই কমিক্‌সটি কঠোর ভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য; শুধুমাত্র সম্পূর্ণ নগ্নতাই যে রয়েছে তাই নয়, প্রচণ্ড মাত্রায় হিংস্রতা রয়েছে, এবং সংলাপে এমন কিছু কথা আছে যেগুলো আমরা সচারচর সবার সামনে ব্যবহার করি না। কমিক্‌সটি আগস্ট ১৯৮৪’র ‘এপিক ইলাস্ট্রেটেড (Epic Illustrated)’-এর ২৫ নং. সংখ্যা থেকে নেওয়া হয়েছে, মূল কমিক্‌সটির নাম ‘The Potty’s Over’— বাংলায় কী নাম দেওয়া হয়েছে সেটা কমিক্‌সটা পড়েই জানুন না হয়! কমিক্‌সটির মূল কাহিনি, ছবি ও রঙ সবকিছুই করেছেন বার্নি রাইটসন (Bernie Wrightson)। প্রসঙ্গক্রমে জানিয়ে রাখি এপিকের এই সংখ্যাটিতে এই কমিক্‌সটি ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি কমিক্‌স ছিল (থাকবে নাই-বা কেন? একটা এগারো পাতার কমিক্‌স দিয়ে তো আর একটা ম্যাগাজিন সম্পূর্ণ হয় না!), কিন্তু বার্নি রাইটসনের এই কাজটার কাছে সেগুলো কিছুই নয়, কমিক্‌সটিতে ওঁর আঁকা থেকে শুরু করে সবকিছু এতটাই ভাল লেগে যায় যে সাহস করে একটা অ্যাডাল্ট কমিক্‌সে (এটি কিন্তু পর্নো কমিক্‌স নয়) হাত দিয়েই ফেলি। আরেকটা কথা, যেহেতু সম্পূর্ণ এপিক কমিক্‌সটির রূপান্তর করিনি এবং এর বিষয়বস্তুর জন্য এটার কোনও ফুল কভার ব্লগে দেওয়াও যাবে না, তাই ছোট করে একটা হাফ কভার দেওয়া হল... এবার আপনাদের প্রতিক্রিয়াই সবকিছুর উত্তর দেবে। এবং এই কমিক্‌সটি উৎসর্গ করলাম তাঁদের উদ্দেশ্যে যাঁরা মনে করেন কমিক্‌স শুধুমাত্র বাচ্চাদের-ছোটদের পড়ার জিনিস!!! আজ ‘এখানেই’ শেষ করলাম তাহলে, ভাল থাকবেন, পাশে থাকবেন!

এখান থেকে সংগ্রহ করুন (সিবিআর ফর্ম্যাট)

এখান থেকে সংগ্রহ করুন (পিডিএফ ফর্ম্যাট)